| ৩০ আগস্ট ২০১৯ | ২:৩২ অপরাহ্ণ | পড়া হয়েছে 746 বার
শাহ ইসমাইল নিজস্বপ্রতিনিধিঃ সিলেট গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘার সফরি বরাবরের মত এবারেরও বেক্রতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে বাঘার সৈয়দী সফরি(পেয়ারা)। দেশে বই-পুস্তরেক ভাষায় এটির নাম পেয়ারা কিন্ত সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় এ সু-স্বাদু ফলের নাম সফরি নামেই সিলেট অঞ্চলে বিখ্যাত
সফরির বাহিরের রং অন্যান্য ফলের মত হলেও ভেতরের রং লাল এবং রসালো-সুস্বাদু।
বর্তমান মৌসুমে প্রতিদিন বাঘার সফরির হাট বসে সিলেট ভায়া কানাইঘাট ফতেগন্জ গাছবাড়ী সড়ক অধিরের দোকান নামক সংলগ্ন স্থানে। এ পথ দিয়ে যাতাযাতকারীরা আসা-যাওয়ার সময় নিয়ে যান গাছ থেকে সংগ্রহকৃত তরতাজা টাটকা পাকা ও আধা পাকা সফরি।প্রায় মাস খানেক সময় থেকে এখানে সফরি বাজারজাত ও বিক্রয় শুরু হয়েছে।
বিক্রেতারা জানান অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সফরির উৎপাদন তুলনামূলক ভাবে কম হয়েছে। এতে কিছুটা হতাশ সফরি বাড়ীর মালিকেরা
সরেজমিনে দেখা যায় যে ছোট-বড় অনেকেই বাঘার সফরি গাছ থেকে সংগ্রহ করে বাঘার কয়েকটি বাজারের রাস্তার কিনারায় বসে থাকেন পসরা সাজিয়ে।
অনেক সৌখিন ক্রেতাই এ ফলের মুগ্ধ হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন কেনার জন্য। বাঘা ইউনিয়নের নাম আসলেই প্রথমে যে জিনিসটি সবার মুখে মুখে আসে তা হলো হল ‘বাঘার সফরি’। বাঘা অঞ্চল টিলা বেষ্টিত হওয়ায়, মোটামুটি প্রতিটি বাড়ীর আঙ্গিনায় রয়েছে সফরির গাছ।
এই রাস্তায় দিয়ে চলাচলকারী পথচারীরা শুধু নিজেদের জন্য নয়, আত্মীয়-স্বজন ও প্রবাসে থাকা প্রিয় মানুষদের জন্যও প্যাকেট করে পাঠান বাঘার সফরি।
প্রতি কেজি সফরি ৭০/৮০ টাকা ও প্রতিটি ঝুড়ি ১০০ টাকা, ১৫০ টাকা ২০০ টাকা এবং ৩৫০ টাকায় বিক্রয় হয়।
একানে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত প্রায় ১০-৩০ মিনিট গভীর রাত পর্যন্ত সফরি বিক্রয় হয়।
এ অঞ্চলের অনেকেই সফরি বিক্রয় করে পরিবারের আহার নিবারণ করে থাকেন।