চৌধুরী আবু সাঈদ ফুয়াদঃ | ২২ এপ্রিল ২০২০ | ১১:৫৯ অপরাহ্ণ | পড়া হয়েছে 992 বার
কুলাউড়ার কালিটি চা বাগান। সবুজ মখমলের মতো শোভিত মনোমুগ্ধকর থাকলেও কৃষ্ণ পাথুরে খোদাই করার ন্যায় মানুষগুলোর উদর অাগুনে পুড়ে যাচ্ছে, বুনোঅালু,লতাপাতা, কাঁচা চায়ের কুঁড়ি দিয়ে ভর্তা বানিয়ে পাকস্থলীতে। তাও যখন শেষ, তখন এক অাঁজলা রুটি অার ভাতের জন্য মিছিল। মালিক পক্ষ তিন মাস থেকে দৈনিক মজুরি বন্ধ করে দিয়েছেন, কর্পূরের মতো উবে গেছে তাদের রেশন,১১ মাস থেকে বিনা বেতনে কর্মচারীরা। চরম শেইকি অবস্থায় বাগানের কায়কারবার।একেতো করোনার কালশিটে থাবা তার উপর শ্রমিকদের বিপর্যয়। বাগান মালিকদের কাছে শ্রমিকদের পাওনা ৫০লাখ টাকা, কর্মচারীদের বেতন, বকেয়া, পিএফ সহ পাওনা দুই কোটি টাকার উপরে। মালিক পক্ষ লাপাত্তা। মহা সংকট। এমনি সময়ে নাওয়াখাওয়া ভুলে পাঁচ শতাধিক চাশ্রমিকের শিয়রে রাঙা রাজকন্যার মতো দাঁড়িয়ে থাকলেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন। অাজ বিকেল থেকে ৪ ঘন্টা ব্যাপি বৈঠক করলেন কুলাউড়া উপজেলার সুযোগ্যে ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর কক্ষে। উপস্হিত করানো হলো বাগান মালিক কয়ছর অাহমদ ও তাঁর চাচা অাব্দুল খালিককে । বৈঠকে অংশ নেন মৌলভীবাজারের চৌকস, নিষ্ঠাবান বিচক্ষণ পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম, নির্ভীক, কর্মপ্রেমী উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফি অাহমেদ সলমান, সমাজমনস্ক জনবান্ধব, বন্ধুবৎসল ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, ডায়নামিক, সজ্জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর, সাহসী, জীবনধর্মী অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান, শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন মোঃনাহিদুল ইসলাম, কল কারখানা ও প্রতিষ্টান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মাহবুবুল হাসান, কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রহমান অাতিক,বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক ও কমলগন্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাম ভজন কৈরী,বিটিইএস ‘র সহ সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সমাজ কর্মীও সংগঠক শেখ রুহেল প্রমুখ।বৈঠকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে অাজ থেকেই জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে কালিটি বাগানের সকল কিছু পরিচালিত হবে, অাগামী কাল ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়ে চা চয়ন করবেন। সমুূদয় পাওনা টাকা পরিশোধ না করা পর্য্যন্ত বাগান মালিকর বাগানে প্রবেশ করতে পারবেন না। চা এর অায় থেকে শ্রমিকদেরকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিলেন ডিসি নাজিয়া শিরিন। তিনি রাজকন্যার মতো ভোখানাংগা শ্রমিকদের শিয়রে দাঁড়িয়ে তাঁদের কালশিটে চেহারায় খুশির ঝিলিক ছড়িয়ে দিলেন, তিনি বলেন জেলা প্রশাসন থেকে ব্যাপক খাবারের ব্যবস্হা করে দেয়া হয়েছে অারও দেয়া হবে,।বাগান জুড়ে বইছে এখন উৎসবী অামেজ, কাল থেকে জমবে মেলা,কাজের খেলা, ভাসবে সবার সুখের ভেলা……… ২২.৪.২০