| ০৬ এপ্রিল ২০২০ | ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ | পড়া হয়েছে 386 বার
করোনাভাইরাসের কারণে ভারতজুড়ে ২১ দিনের (১৪ এপ্রিল পর্যন্ত) লকডাউন চলছে। গত ২৪ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার ছিল দশম দিন।
ওয়ার্ল্ডওমিটার্স ডট ইনফোর তথ্য মতে ভারতে এ ভাইরাসে মোট মারা গেছে ৭২ জন। মোট আক্রান্ত ২,৫৬৭ জন। এর মধ্যে নতুন আক্রান্ত ২৪ জন। তবে নতুন কোনো মৃত্যু নেই।
মার্কিন সংস্থা বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুনের শেষ সপ্তাহ অথবা সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ভারতে লকডাউন চলতে পারে। কীসের ভিত্তিতে এ কথা বলে সংস্থাটি? লকডাউনে চীনের পরিস্থিতি এবং ভারতের স্বাস্থ্যের পরিকাঠামোর ওপর ভিত্তি করেই এ কথা বলা হয় প্রতিবেদনে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, ‘সংস্থাটি দাবি করে বলেছে, ভারতের জনসংখ্যা এবং অনুন্নত স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্যই এত তাড়াতাড়ি লকডাউন তুলে নেয়া সম্ভব হবে না। তা অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়াবে। শুধু তাই নয়, তাদের সমীক্ষা বলছে, জুনের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে
কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তবে যদি এরপর প্রশাসন লকডাউন তোলার কথা চিন্তা করে, সেক্ষেত্রে গৃহবন্দিদশা কাটতে পারে জুনের শেষ সপ্তাহে। স্বাভাবিকভাবেই এমন রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।’
যদিও ভারতের কেন্দ্র সরকার আগেই জানিয়েছিল, লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।
ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জুন-জুলাই পর্যন্ত কলম্বিয়া, পোল্যান্ড এবং ব্রিটেনেও লকডাউন চলতে পারে। তবে ভারতের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে আরও সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, চীনের হুবেই প্রদেশে ২৩ জানুয়ারি শুরু হয় লকডাউন, যা উঠবে আগামী ৮ এপ্রিল। অর্থাৎ করোনা মোকাবিলায় ২১ দিনের লকডাউন যে কার্যকর হবে না, সে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে এই তথ্যের মাধ্যমে। এ ছাড়া ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতে আগস্ট মাস পর্যন্ত লকডাউন চলতে পারে বলে উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।